দক্ষিণ সুদানে বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলায় চলতি সপ্তাহে ২৪ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। জাতিসংঘ এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট এই দেশটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। ১৩ বছর আগে স্বাধীনতার পর থেকে সংকটের মধ্যেই রয়েছে দক্ষিণ সুদান। গত মাসে এমন পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন আরও বিলম্বিত হচ্ছে।
দক্ষিণ সেন্ট্রাল ইকুয়েটোরিয়া রাজ্যে বুধবারের হামলায় ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট (এনএএস) গ্রুপ এবং সরকারি বাহিনীর একটি দল জড়িত বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘের মিশন (ইউএনএমআইএসএস) এসব হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ১৯ জন বেসামরিক নাগরিকসহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইউএনএমআইএসএস- প্রধান নিকোলাস হেসোম এক বিবৃতিতে বলেন, আমি এই নৃশংস কর্মকাণ্ডের জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং দক্ষিণ সুদান সরকারের কাছে অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য অবিলম্বে তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে সেন্ট্রাল ইকুয়েটোরিয়ার শান্তি বিষয়ক মন্ত্রী জেরাল্ড ফ্রান্সিস বলেছেন, পৃথক এলাকায় দুটি হামলায় মোট ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
সুদান থেকে দক্ষিণ সুদান স্বাধীনতা অর্জনের দুই বছর পর ২০১৩ সালে শুরু হওয়া সংঘাতে প্রায় ৪ লাখ মানুষ নিহত হয়। ২০১৮ সালের চুক্তিটি প্রেসিডেন্ট সালভা কির এবং তার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচারের মধ্যে দ্বন্দ্বের নিরসন ঘটায়।
তবে সংবিধান রচনা এবং দেশের প্রথমবারের মতো নির্বাচনের প্রচেষ্টা বারবার বিলম্বিত হয়েছে। বিশাল তেলের খনি থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ সুদানের অর্থনীতি প্রায় ভেঙে পড়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor